মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি সরকার গঠন করলে  প্রথম পর্যায়ে ৫০ লক্ষ পরিবার কে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে— কয়ছর এম আহমেদ হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান হারুন-বিপ্লবের সাত পদক বাতিল “রক্তের আখরে লেখা জুলাই বিজয় “ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও শহীদদের স্মরণে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল জগন্নাথপুরে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

নারকোটিক্সের ডোপ টেস্ট ল্যাব হচ্ছে ১৯ জেলায়

নারকোটিক্সের ডোপ টেস্ট ল্যাব হচ্ছে ১৯ জেলায়

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:   মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (নারকোটিক্স) আওতায় দেশের ১৯টি জেলায় ডোপ টেস্ট ল্যাব (মাদকাসক্তি শনাক্তকরণ পরীক্ষাগার) স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। ঢাকায় ৩টিসহ প্রাথমিকভাবে মোট ২১টি স্থানে ল্যাব স্থাপিত হবে। পর্যায়ক্রমের ল্যাবের সংখ্যা আরও বাড়বে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেও ডোপ টেস্ট করাতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে ইতোমধ্যে এ টেস্ট শুরু হয়েছে। মাদকাসক্তি শনাক্ত হওয়ায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার বলেন, সরকারি চাকরি প্রার্থী, শিক্ষার্থী এবং গাড়ি চালক যদি জানেন যে ডোপ টেস্টের মধ্যে পড়তে হবে তাহলে তারা মাদক সেবনে নিরুৎসাহিত হবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ২১টি ল্যাব স্থাপন করা হলেও পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে আরও বাড়ানো হবে।

দেশে অব্যহতভাবে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবা, ফেনসিডিল এবং হেরোইনে আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। সরকারি নানা উদ্যোগের পরও মাদক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে না। সর্বনাশা ইয়াবার পাচার কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগীদের ৬০ শতাংশের বেশি ইয়াবা আসক্ত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ইউরিন এবং লালার পাশাপাশি চুল, রক্ত এবং নখের নমুনা থেকে মাদকাসক্তি নির্ণয় করা হবে। কারণ লালা এবং ইউরিন থেকে ৫-৭ দিন পর মাদকাসক্তির উপস্থিতি হারিয়ে যায়। কিন্তু চুল এবং নখের নমুনা থেকে ৩ মাস পরও মাদকাসিক্ত শনাক্ত করা সম্ভব।

অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাঞ্জুরুল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়াটি চূড়ান্তভাবে শুরুর আগে ডোপ টেস্ট বিধিমালা চূড়ান্ত হতে হবে। এ সংক্রান্ত বিধিমালা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধরা হয়েছে। তবে সরকার চাইলে মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (উত্তর) মেহেদী হাসান বলেন, প্রায় ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ডোপ টেস্ট ল্যাব প্রকল্পটি পিইসি সভায় পাস হয়ে একনেকে যাচ্ছে। তবে পরবর্তীতে বাজেটের আকার আরও কিছুটা বাড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com